এই বইটি কেবল ঐতিহাসিকতা বিশ্লেষণ করে না, বরং মুসলমান দুনিয়ার সমসাময়িক সমস্যাগুলোকেও বিশ্লেষণ করে। অষ্টম থেকে একাদশ শতাব্দীকে মুসলমানদের ‘স্বর্ণযুগ’ হিসাবে আখ্যায়িত করছেন লেখক তাঁর এই বইতে। কুরুর ভাষায়, “বিশেষত আট থেকে এগারো শতকে মুসলমান দুনিয়াই ছিল সভ্যতা ও দর্শনের পীঠস্থান। তৎকালীন পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় মুসলমান দুনিয়া বহুগুণ উন্নত ছিল।” তাঁর মতে, এরপরেই ঘটে মুসলমান দুনিয়ার ‘পতন’। এই ‘পতন’-এর জন্য এবং আজকের মুসলমান দুনিয়ার স্বৈরশাসন ও অনুন্নয়নের জন্য অনেকেই রিলিজিয়নের অপব্যাখ্যা ও পশ্চিমা উপনিবেশায়নকে দায়ী করলেও কুরু দায়ী করছেন ওলামা-রাষ্ট্রের জোটকে। একাদশ শতাব্দীর আগে রাষ্ট্র ও ওলামাদের মধ্যে একটি দূরত্ব বজায় থাকত।” ওলামা-স্বাধীন বুদ্ধিজীবীদের অর্থায়ন করতেন বণিকরা, ওলামারা নিজেরাও বাণিজ্যিক খাতে কর্মরত ছিলেন। কুরু দেখাচ্ছেন যে, একাদশ শতাব্দী থেকে ধীরে ধীরে রাষ্ট্র ও ওলামাদের মধ্যে একটি জোট বাঁধার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই জোট নিজেদের স্বার্থে স্বাধীন বুর্জোয়া ও বুদ্ধিজীবীদের কোণঠাসা করে ফেলে। এই বইতে তিনি আরো বলছেন যে, উনিশ ও বিশ শতকের মুসলমান দুনিয়া অনেক সংস্কারপন্থী ও সেক্যুলার শাসক দেখে। এই শাসকরাও সামগ্রিক অনুন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
Reviews
There are no reviews yet.