একটা গ্রন্থ গোটা একটা সভ্যতাকে বদলে দিয়েছে— এমন ঘটনা দুনিয়ায় আর একটাও নেই। কী আছে সেই কুরআনে যার স্পর্শে এলে মানুষেরা পাগলপারা হয়ে যায়? কী তার শক্তি যা আমূল বদলে দেয় মানুষের চিন্তাধারা, জীবনপদ্ধতিকে? কী আশ্চর্য তার ক্ষমতা যা শুনবার জন্যে চরম শত্রুরাও রাতের অন্ধকারে কান পেতে রাখতো?
জীবনের যে উদ্দেশ্য আর রহস্যের সন্ধানে একদা হেরা গুহায় দিন কেটেছিলো নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের, সেই উদ্দেশ্যের স্বরূপ উপস্থাপনা এই কুরআন। আগাগোড়া পাপে জর্জরিত একটা সভ্যতা এই কুরআনের সংস্পর্শে হয়ে উঠেছে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য। ব্যক্তিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়– সবখানে এই কুরআন ছিলো নিউক্লিয়াসের ভূমিকায়। অন্ধকারে ডুবে থাকা একটা সমাজকে এই কুরআন বানিয়েছে আলোর উৎস। পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে, দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছড়িয়ে গেছে এই আলোর ঝলকানি।
কুরআনের সাথে আমাদের জীবনের সম্পর্কটা সু–প্রাচীন। অবতীর্ণের প্রথম দিন থেকে কুরআন মানবজীবনে যতোখানি প্রাসঙ্গিক ছিলো, পৃথিবীর শেষ দিনটাতেও তা ততোখানিই প্রাসঙ্গিক থাকবে। মানবজীবনের সকল অনুষঙ্গ নিয়ে কুরআন কথা বলে, পথ দেখায়।
কিন্তু, যে কুরআন একদা বদলে দিয়েছে পৃথিবীর গতিপথ, সেই কুরআন আজ কী নিদারুন অযত্নে পড়ে থাকে আমাদের শেলফের কোণায়। তার গায়ে ধুলোয় জমাট আস্তরন। যে কুরআন পাহাড়ে অবতীর্ণ হলে পাহাড় ধ্বসে যেতো, সেই কুরআন নিয়ে আজ আমাদের কী অবর্ণনীয় অবহেলা। আজ জীবনে আমরা সবকিছুকে স্থান দিয়েছি, সময় বের করেছি ছোট–বড় সমস্ত অনুষঙ্গের জন্যে, কিন্তু জীবনের জন্য যে কুরআনের আগমন, তার জন্যে আমাদের কোন ‘সময়’ নেই।
কুরআনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মণি–মুক্তো। সেই মণি–মুক্তোর আকর থেকে কীভাবে আমরা তুলে আনবো প্রয়োজনীয় রসদ, কীভাবে ভাবনায় আনবো সমৃদ্ধি, চিন্তায় প্রখরতা এবং উপলব্ধিকে কীভাবে করে তুলবো মসৃণ আর জীবনোপোযোগি তার খানিকটা আভাস হাজির করার চেষ্টা করা হয়েছে ‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ‘ বইতে, আলহামদুলিল্লাহ।
Reviews
There are no reviews yet.