প্লেটো: রিপাবলিক নিজের নগরী (রাষ্ট্র) অ্যাথেন্স এবং অন্যান্য গ্রিক নগরীতে ন্যায়ের অভাব এবং ব্যক্তির মধ্যে নৈতিকতার ঘাটতি লক্ষ করে সেসব সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছিলেন দার্শনিকশ্রেষ্ঠ প্লেটো এবং তাঁর সেই উদ্যোগের ফসল হচ্ছে রিপাবলিক। ইতিহাসপাঠ থেকে আমরা জানি যে, প্লেটোর যুগে গ্রিকবিশ্বে রাষ্ট্রশাসনে প্রভূত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় শাসনপদ্ধতিতে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিয়েছিল, ব্যক্তি ও রাষ্ট্রে ন্যায়নৈতিকতার আকাল ঘটেছিল, আদর্শ রাষ্ট্রের শাসক হওয়ার শ্রেষ্ঠ যোগ্যতা বা সবচেয়ে জোরালো দাবি কার, তা নিয়ে ব্যবহারিক ও নৈতিক প্রশ্ন জেগেছিল; তিনি এসবের সমাধান দিতে চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যেই প্লেটো এক আদর্শ রাষ্ট্রের (নামত, কাল্লিপলিস–এর, তথা, সুন্দর নগরীর) রূপরেখা অঙ্কন করেছিলেন, যা আমরা এই সংলাপটির মূলবক্তা সক্রেটিসের আলাপচারিতার সূত্রে জানতে পারি। গত আড়াই হাজার বছর এই পুস্তকটি রাজনৈতিক ‘ট্রিটিজ’ হিসেবে, এবং সেই সাথে ন্যায় ও নৈতিকতা, শিক্ষা, জ্ঞান, অধিবিদ্যার ‘ট্রিটিজ’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে পঠিত হচ্ছে; পাশ্চাত্য, এবং বাকি বিশ্বের মানসলোককে তা প্রভাবিত করে চলেছে। কেউ কেউ এই রচনাটিকে দেখেছেন ‘মনের (আত্মার) প্রতীকী কাহিনী’ হিসেবে; কেউ কেউ বলেছেন এটি ‘সক্রেটিসের সত্যিকার জবানবন্দি’, ‘ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির সামাজিক পুরস্কার’-এর বর্ণনা, ‘ব্যক্তির নৈতিকতার আইন’; কেউ কেউ আবার একে ‘নগরীর আদর্শ চরিত্র’-এর রূপায়ন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন; কারও কারও মতে রিপাবলিক হলো, ‘ঈশ্বরের নগরী, যাতে প্লেটো পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন’; আবার একে ‘নীতিদর্শনের পুস্তক’ এবং সর্বোপরি, ‘মানুষের পূর্ণাঙ্গ দর্শন’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন কেউ কেউ। অন্য
Reviews
There are no reviews yet.