’বিশ্বায়ন’ নামের বাস্তবতাটিকে অর্থনীতি, ইতিহাস, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় নীতির আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গ্রন্থটিতে। বিশ্বায়নের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বিষয়ে পাঠক যেমন এখানে একটা ধারণা পাবেন, তেমনি যথাযথ গুরুত্ব দিয়েই বিশ্বায়িত বাংলাদেশকে বুঝতে সাহায্য করবে এই গ্রন্থটি।
বিশ্বায়নের বৈপরিত্য পাঠককে বহুদিক দিয়ে বিশ্বায়নকে বুঝতে সাহায্য করবে। বিশ্বায়িত বর্তমান দুনিয়ায় সম্পদের প্রাচুর্য সত্ত্বেও কেন বহু ধনী দেশেও দারিদ্রের লাঞ্ছনা বিপুল মাত্রাতেই উপস্থিত, রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে বৈষম্য বৃদ্ধি বা লাঘবের সম্পর্কটা কী. কেন বিশ্বায়নে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয় না, পুঁজিবাদী বিশ্বায়নের মধ্য দিয়ে কিভাবে সম্পদের প্রবাহ দুনিয়ার মানুষের স্বার্থের বিপরীতে যেতে পারে, বিশ্বায়নের বর্তমান ধরনের সাথে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও দূষণ বৃদ্ধির সম্পর্ক কী, ইত্যাদি অজস্র প্রশ্ন এখানে আনু মুহাম্মদ সবিস্তারে তুলে ধরেছেন।
বিশ্বায়নের বৈপরিত্য একইসাথে বিশ্বায়নকে বুঝবার একটা তাত্ত্বিক কাঠামোও পাঠকের সামনে হাজির করবে। ঐতিহাসিকভাবেই পুঁজি তার আকৃতি বিস্তারের সাথে সাথে নানান যুগে কিভাবে এবং কতটুকু বিশ্বায়িত রূপে হাজির ছিল, তার বিবরণের সাথে সাথে যুগে যুগে দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বিশ্বায়নের গতি-প্রকৃতিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবার চেষ্টা করেছেন, সেই ধারণাগুলোও বিস্তাতিরভাবেই মিলবে এখানে। আরও পুরনো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটগুলো হাজির রেখেই লেখক ১৯৯০-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা ও বিশ্বায়নের যাত্রা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করেছেন, যে আলাপ হাল আমল পর্যন্ত স্পর্শ করেছে।
রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়টিকে যারা এই মূহুর্তের বৈশ্বিক ও জাতীয় বাস্তবতার আলোকে উপলদ্ধি করতে চান, ‘বিশ্বায়নের বৈপরিত্য’ তাদের জন্য একটি অপরিহার্য গ্রন্থ।
Reviews
There are no reviews yet.