সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শুরু করেছিলেন গল্প লেখক হিসেবেই; তিনি একাধিক উপন্যাসও লিখেছেন। কিন্তু তাঁর বিশেষ ক্ষেত্রটি দাঁড়িয়ে গেছে প্রবন্ধ। তাঁর লেখা প্রবন্ধে গল্পের খোঁজ পাওয়া যায়, তবে গল্পে যাতে প্রবন্ধ না ঢুকে পড়ে সে বিষয়ে তিনি ভালো মতোই সচেতন। এ বইয়ের গল্পগুলোর প্রত্যেকটিতেই ব্যক্তি আছে, আর আছে ঘটনা। ব্যক্তি থাকলে ঘটনা তো থাকবেই। ব্যক্তির কারণেই এবং ব্যক্তিকে ঘিরেই তো ঘটনা। কিন্তু ব্যক্তির সমস্যাই প্রধান। ব্যক্তির জন্য মূল সমস্যাটা দাাঁড়িয়েছে আত্মপরিচয়ের। আত্মপরিচয়ের সূত্রে ও সীমানা-নির্ধারণ করে দিতে অন্য মানুষেরা আসে। তারা অপরজন ও আপনজন হিসেবে আসে; উপস্থিত হয় শত্রুপক্ষ হিসেবেও। গল্পের মানুষগুলো আমাদের সহানুভূতির দাবী করে। এর প্রধান কারণ লেখক নিজেও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সহানুভূতি অবশ্য শিল্পের সীমা লঙ্ঘন করেনি।
গল্পগুলোর ভেতরে প্রবন্ধের অনুপ্রবেশ তাই ঘটেনি; তবে ইতিহাস আছে। ব্যক্তি তো ইতিহাসের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। ইতিহাস তাই অনিবার্য। ব্যক্তির আত্মপরিচয়ের সঙ্কটটা যেমন ব্যক্তিগত, তেমনি আবার সমষ্টিগতও। এই দ্বৈত সত্যের আভাসও গল্পগুলোতে পাওয়া যাবে।
Sale!
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
Reviews
There are no reviews yet.