হামিমার স্বামী হিমেল এসেছে ডাক্তার তরফদারের কাছে। মূল উদ্দেশ্য ডাক্তার তারফদারের পরামর্শ গ্রহণ করা। কারণ তার স্ত্রী মাঝে মাঝে ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে । অজানা এক ব্যক্তি একজনের পর একজন মানুষকে খুন করছে। তার স্ত্রীর বিশ্বাস, তার সকল স্বপ্ন সত্য। ডাক্তার তরফদার প্রথমে বিষয়টিকে অবচেতন মনের কল্পনা ভাবলেও পরে অনুধাবন করেন বাস্তবতা আর স্বপ্নের মধ্যে সূ যোগসূত্র আছে। সেই যোগসূত্র ধরে খুনির পরিচয় উদ্ঘাটন করতে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। হামিমা যে বেরিয়ে গেছে ক্লিনিক থেকে। তাহলে কি সে খুনির ফাঁদে পা দিয়েছে!
ধীরে ধীরে চোখ খুলল হামিমা, এতক্ষণ চোখ বাঁধা ছিল তার। চোখে আলো সয়ে আসতে সময় লাগল কিছুটা। আঁতকে উঠল সামনের মানুষটাকে দেখে। ভয়ংকর সেই সিরিয়াল কিলার যাকে সে স্বপ্নে দেখত! হাতে একটা ছুরি, চকচক করছে। এই ছুরি দিয়েই সে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে মানুষকে, টুকরো টুকরো করে শরীর। হামিমা বুঝতে পারল মহাবিপদে আছে সে। কারণ নির্জন এক কক্ষে বন্দি সে, কেউ জানে না এই কক্ষের সন্ধান! এজন্য চাইলেও তাকে উদ্ধার করতে পারবে না কেউ। একমাত্র পরিণতি মৃত্যু!
ডাক্তার তরফদার কি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পেরেছিলেন হামিমাকে? আর কে ছিল ঐ সিরিয়াল কিলার? নাকি সবার অলক্ষে এখনো সে চালিয়ে যাচ্ছে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ!
Reviews
There are no reviews yet.