শফিক হাসান রচিত গল্পগ্রন্থ ‘খোলস’ বহুমাত্রিক চিন্তার ফসল। জীবনের নানা ঘটনার বিষয় তার গল্পে কল্পনার সঙ্গে রচিত হয়। এখানেই তার কৃতিত্ব; সৃজনশীল মাত্রাকে চিত্রায়িত করার ক্ষেত্রে।
তরুণ লেখক শফিক হাসান পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা করে। সে হিসেবে তৃতীয় নয়নকেও সজাগ রাখতে হয় তাকে। চারপাশের নৃশংসতা, নির্মমতার খাণ্ডবদাহন কিংবা মানবতার অনন্য সব দৃষ্টান্ত চাক্ষুষ করতে বাধ্য হয় প্রতিনিয়ত। প্রতিদিনকার চেনা এবং অচেনা জগতকেই মূর্ত করে তোলে গল্পে। তার গল্পে কষ্টকল্পনা নেই। পড়ার পর পাঠকের মনে হবে, এটা দেখা এবং চেনা দৃশ্য। সব গল্প নির্মোহ ভঙ্গিতে বলে যায় লেখক।
গ্রামজীবন ও শহুরে জীবন, মধ্যবিত্তের রোজনামচা, নিরন্ন নিম্নবিত্তের দারিদ্র্যের কষাঘাত উঠে এসেছে গল্পগুলোতে। প্রযুক্তি কিংবা উন্নয়নের যাঁতাকলে বাড়ছে মানুষের চাহিদা। বাড়ছে ভোগপ্রবণতা, বিলাসব্যসন। চলমান করোনাকাল যাপিত জীবনে বড় ঝাঁকুনি দিয়েছে। করোনাকালে কী জীবন যাপন করছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সেসবের খণ্ডচিত্রও তুলে ধরেছে শফিক হাসান।
একদিকে লেখক শোনাচ্ছে প্রেমের গল্প, অন্যদিকে অপ্রেমের, জিঘাংসারও। সব মিলিয়ে পাঠককে একটু থমকাতে হবে। ভাবতে হবে, গল্পকারের প্রবণতা আসলে কোন-মুখী! লেখকের সঙ্গে পাঠকের বোঝাপড়া তাই শেষপর্যন্ত হয়ত একটা প্রশ্ন হয়েই ঝুলে থাকে। নিস্পৃহ ভাষ্যে চলমান জীবনের গল্প বুনে যায় শফিক হাসান।
তরুণ লেখক শফিক হাসানের কাছে ভবিষ্যতে সাহিত্যকে জীবনের বড় পরিসরে ধারণ করে রাখার প্রেরণা প্রত্যাশা করি। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। –সেলিনা হোসেন
Sale!
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
Reviews
There are no reviews yet.